সমাজসেবা অধিদফতর সরকারের অন্যান্য জাতিগঠনমূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম। ১৯৫৫ সালে দেশে সমাজকল্যাণ কার্যক্রম শুরু হলেও ১৯৬১ সালে সমাজসেবা পরিদফতরের সৃষ্টি হয়। ষাটের দশকের সৃষ্টিকৃত পরিদফতরটিই আজ সমাজসেবা অধিদফতরে উন্নীত হয়েছে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়াধীন সমাজসেবা অধিদফতর দেশের দুস্থ, অবহেলিত, পশ্চাৎপদ, দরিদ্র, এতিম, অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী এবং সমাজের অনগ্রসর মানুষের কল্যাণ ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যাপক ও বহুমুখী কর্মসূচি নিয়ে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী সুদৃঢ়করণের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে ১৫(ঘ) অনুচেছদের আলোকে দেশের বিভিন্ন অনগ্রসর শ্রেণির জন্য সাংবিধানিক অঙ্গীকার পূরণের লক্ষ্যে সরকারের অভিপ্রায় বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার ক্ষেত্রে এ অধিদফতর পথিকৃৎ হিসেবে স্বীকৃত। বয়স্কভাতা, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা দুস্থ মহিলা ভাতা, অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভাতা, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপবৃত্তি, মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ঝুঁকি মোকাবেলা কর্মসূচি ইত্যাদি প্রবর্তনের ক্ষেত্রে এ অধিদফতরের ভূমিকা দেশে বিদেশে ব্যাপকভাবে সমাদৃত।
সমাজসেবা অধিদফতর The Probation of Offenders Ordinance, ১৯৬১ সালে Registration and Control Ordinance, ২০১১ সালে ভবঘুরে ও নিরাশ্রয় ব্যক্তি (পুনর্বাসন) আইন ২০১৩ সালে শিশু আইন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০০৬ সালে কারাগারে আটক সাজাপ্রাপ্ত নারীদের বিশেষ সুবিধা আইনসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করে আসছে।
এ অধিদফতর জাতিসংঘসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সনদ বা কনভেনশন বাস্তবায়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জাতিসংঘ ঘোষিত সর্বজনীন মানবাধিকার সনদ, শিশু অধিকার সনদ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সনদ ইত্যাদি বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। প্রথম দিকে কল্যাণকামী দৃষ্টিভঙ্গি (Welfare Approach) নিয়ে কাজ করলেও বর্তমানে এ অধিদফতর অধিকার ও ক্ষমতায়ন দৃষ্টিভঙ্গি (Right Based and Empowerment Approach) নিয়ে নতুন নতুন কার্যক্রম গ্রহণ করছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস